×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০২-০৪
  • ৬৪ বার পঠিত
এমরান মাহমুদ প্রত্যয়, নওগাঁ প্রতিনিধি:
দেশের উত্তর জনপদের ইতিহাস ঐতিহ্য ভরা গ্রামীণ জনপদ নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার এলাকায় অযত্নে অবহেলা ও অর্থাভাবে ডাস্টবিন/ ময়লার স্তূপে পরিনত হয়েছে মুক্তি যোদ্ধা স্মৃতি সংসদ। 

খাস জমিতে প্রায় ২যুগের অধিক সময় পূর্বে গড়ে উঠা মুক্তি যোদ্ধা সংসদ নামে এই ভবনটি এখন যেন ময়লার স্তূপে পরিনত।অনেক বছর পেরিয়ে গেলেও তত্বাবধান ও অর্থাভাবে অযত্নে অবহেলায় পূর্ণ নির্মান হয়নি আজও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই "মুক্তি যোদ্ধা সংসদ ভবনটি"।


 মঙ্গলবার( ৪ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে ঘুরে জানাগেছে  উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানী পুর বাজার এলাকায় স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রায় ৬৪ জন মুক্তি যোদ্ধাদের অর্থায়নে ১৯৯৫ সালের মাঝামাঝি  সময়ে  টিনের দু চালা ও চাটায় দিয়ে ঘেরা এককক্ষ বিশিষ্ট  ঘর নির্মাণ করেন,নাম করণ করা হয় "মুক্তি যোদ্ধা সংসদ"। 


পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় কার্যালয় তৈরি করতে, মুক্তি যোদ্ধা সংসদ বেছে নেয়।তবে কিছু সময় পর সেই স্থান পরিবর্তন করে এবং নতুন যায়গা নির্ধারণ করে।

 সময়ের পটপরিবর্তনে ইট দিয়ে পাকা নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেন ইউনিয়নের স্থানীয় মুক্তি যোদ্ধারা। 

তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন জন সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোন সাহায্য মেলেনি কারো কাছে বলে জানিয়েছেন বেশ কিছু  মুক্তিযোদ্ধারা। 

ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধাদের
নিজস্ব অর্থায়নে  ২০০৮ সালে শুরু করে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ।কিন্তু অর্থাভবে প্রয়োজনীয় সংস্কার না করতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন মুক্তি যোদ্ধা হাবিল তিনি বলেন উর্ধতন কর্মকর্তা গন চাইলে ভবনটি নির্মাণ আজও সম্ভব ।

দেখাগেছে  দীর্ঘদিন পরে থাকা নির্মাণাধীন ভবনটির গা ঘেঁষে যত্রতত্র মল-মুত্র ত্যাগ করছে মানুষ জন। পাশ দিয়ে গড়ে উঠা চায়ের দোকানের ময়লা পানি ও আবর্জনা গুলো প্রতিদিন এখানেই ফেলা হচ্ছে। ফলে এই ভবনটি বর্তমানে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লার স্তূপে পরিনত হয়েছে। 

এবিষয়ে মুক্তি যোদ্ধা আমজাদ হোসেন  বলেন এটা আমাদের দূর্ভাগ্য, আমরা দীর্ঘ ১৭-১৮ বছরে বিভিন্ন সময় এমপি এবং  উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা চেয়েছি তারা আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু সহযোগিতা করেনি।

 মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার দুদুশাহ্ কিছুটা সহোযোগিতা করেছিলেন। এসময় তিনি বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় আমাদের শেষ ভরসা।

 ইউনিয়নের প্রায় ২৪ জন মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছে। এ-সময় তিনি রণাঙ্গনের  মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় অনেক কথা বলেন।


এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন বলেন তিনি স্থানটি পরিদর্শন করে এবং স্থানীয়   মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই সাথে তিনি সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন ভবনটি নির্মাণ সম্ভব হলে সেটি হবে অবশ্যই এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাল হবে  এবং মুক্তি যুদ্ধের চেতনা তরান্বিত হবে আগামী প্রজন্মের জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat