স্টার্ফ রিপোর্টার:
গাজীপুর জেলা শ্রীপুর থানা কাওরাইদ ইউনিয়নে শিমুল তলা গ্রামে জোর পুর্বক জমি দখল ও বসতি স্হাপন ও জমিতে থাকা আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার বাশঁ ও গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মৃত হাবিব উল্লাহর ছেলে লোহাজ উদ্দিন বলেন, আমার দুই সহধর ছোট ভাই আবুল কালাম ও শহিদুল ইসলাম এর নামে দলিল কৃত জায়গা যাহার দলিলনং-৭৬১৯, তারিখ ০৭/০৮/১৯৯০ ইং তারিখ মূলে মালিক হইয়া নাম জারি জোত নং ৩৪৬৮ জোত খুলিয়া খাজনা খারিজ পরিশোধ করিয়া আসিতেছে উক্ত দলিলে এস এ- ৭৮৪ আর এস - ২০৪৭ নং খতিয়ান এস -২৭৩৬ আর এস -১৩২৪৬ নং দাগে তাহাদের আকাশমনি সই বিভিন্ন প্রকার গাছ-পালা লাগানো ছিল এবং ভোগ দখল অবস্থায় বিদ্যমান আমার দুই ভাই বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত থাকা সুবাধে এই জমি আমি দেখা- শোনা করে আসছি।
দীর্ঘদিন যাবত আমার এই দুই ভাইয়ের সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা করে আসছে
মালিক ও তার পরিবারের লোকজন এর আগেও শ্রীপুর থানায় দুই- দুই বার তাদের নামে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১২টার মধ্যে সংবাদ পাই যে আমার সৎ ভাই আজিজ উদ্দিন, মুকলেস উদ্দিন, ও তাদের সন্তান কামাল, আকতার উদ্দিন ঝর্না আক্তার এরশাদ, সুরুজ মিয়া শাহানার
রেহেনা খাতুন, শরিফা খাতুন,সহ ভাড়াটিয়া কিছু সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে আমার ভাইয়ের দলিলকৃত জমির উপড় জোরপূবক করে স্থাপনা নিমান
কাজ করছে, এরকম সংবাদ পেয়ে আমি ও রাজিবুল আলম ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে উক্ত নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করলে বিবাদীগন দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের উপর কোপ দিলে আমি পিছন থেকে ধরে ফেলি এরপর ভাড়া করে আনা সন্ত্রাসী ফরিদ ও রাজ্জাক লোহার শাবল দিয়ে আমাদের কে প্রানে মারার জন্য এগিয়ে আসলে জীবনের মায়ায় আমরা ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে আসি এই বিষয়ে রাজিবুল
আলম বলেন আমার চাচাদের জায়গায় জোর পূর্বক ভাবে স্থাপনা নির্মাণের কথা শুনে আমার বাবার সাথে ঘটনার স্থলে গেলে বিবাদীরা আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে আমার উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করলে আমার বাবা পিছন থেকে ধরে ফেলে এরপর আমার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করলে কামাল এসে মোবাইল ছিনিয়ে নেই।
ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলার চেষ্টা করলে আমি দৌড়ে পালিয়ে আসি এরপর কোন উপায় না দেখে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দেই কিছু সময় পর পুলিশ এসে জমিতে নির্মাণ কাজ করতে পায়,
আগেও এদের নামে থানায় অভিযোগ করা হয় পুলিশ তাদের কাজ বন্ধ করে কাগজ নিয়ে থানায় আসতে বলে উভয় পক্ষকে তখন সাময়িক কাজ বন্ধ রাখে পুলিশ চলে যাওয়ার পর তারা আবার জমি দখলের জন্য এসে হাজির হয়,গায়ের জোরে নির্মান কাজ করে।
এ বিষয়ে মফিজ উদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে বলেন আমার বাবার সম্পত্তি থেকে আমরা বন্ধিত হয়েছি,আমার ভাইয়েরা বেশি জমি ভোগদখল করছে,বার বার বলার পরেও জমির ভাগ আমাদের বুঝিয়ে না দেওয়ায়,
আমরা আমাদের অংশ বুঝে নিতে স্হাপনা নির্মান করছি।
এই বিষয়ে রাজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..