×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-৩০
  • ৩৭ বার পঠিত
ডেস্ক নিউজ :

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে টিআর-কাবিখা প্রকল্পের ৪ কোটি টাকার ভাগ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রেজাউল করিমের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। দ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তারা পিআইওর বিরুদ্ধে ঘুস, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এবং কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পে পিআইও রেজাউল করিম ২৫ শতাংশ নগদ ঘুষ দাবি করেছেন। পাশাপাশি সরকারি নিয়ম ছাড়াই ১৫ শতাংশ ভ্যাট-আয়কর এবং প্রত্যেক প্রকল্পে ‘মাস্টাররোল ফাইলিং’ বাবদ অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে পিআইও রেজাউল করিম বলেন, ‘গত শুক্রবার ইউএনও সানজিদা রহমান ও তার নাজির মাজহার করিম আমার অফিসে বসে ৪ কোটি টাকার প্রকল্পের তালিকা তৈরি করে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি যাচাই-বাছাই ছাড়া স্বাক্ষর করতে রাজি না হওয়ায় ইউএনও মহোদয় ক্ষিপ্ত হন।’ 
অন্যদিকে ইউএনও সানজিদা রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের ৮০ ভাগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাকি ২০ ভাগ উপজেলা পরিষদের প্রকল্প। তালিকা প্রস্তুত করে স্বাক্ষর করতে বলায় পিআইও অস্বীকৃতি জানান। অফিস বন্ধের দিনে আমি তার অফিসে গিয়েছিলাম, তাতে সমস্যা কোথায়? পিআইও অফিস তো সরকারি জায়গা।’

দ্বন্দ্বের এই ঘটনাকে ঘিরে ঈশ্বরগঞ্জে প্রশাসনিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘প্রকল্পের টাকার ভাগাভাগি’ নিয়েই মূলত এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat