×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-৩০
  • ৩৭ বার পঠিত
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: 

স্থানীয় ভুক্তভোগী ও সাধারণ কৃষকরা।
 তারা বলেন, প্রকাশিত সংবাদের তথ্য যাচাই না করে প্রকাশ করা হয়েছে, যার ফলে নির্দোষ মানুষ বিভ্রান্তি ও মানহানির শিকার হচ্ছেন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা একটি কল্পিত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে। আমরা চাই প্রকৃত সত্য প্রশাসন তদন্ত করে প্রকাশ করুক, যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।”
তারা বলেন, “আমরা চাই না কাউকে দোষারোপ করা হোক। শুধু সত্য প্রকাশ পাক, আর যাদের কারণে ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে, তারা যেন ভবিষ্যতে সতর্ক থাকে।” ওই প্রতিবেদনে যাদের নাম বা সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তারা কেউই কোনো ধরনের চাষাবাদে বাধা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত নন।
তারা বলেন, “আমরা বহু বছর ধরে আইন অনুযায়ী সরকারি খাস জমিতে বৈধভাবে চাষাবাদ করছি। কারও সঙ্গে বিরোধ নেই। হঠাৎ করে আমাদের নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা দুঃখজনক।”


স্থানীয় বাসিন্দা ও ভিকটিম আনোয়ার, জসিম,মান্নান ও তাদের  পরিবারের সদস্যরা বলেন, চরবাংলা এলাকায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনো প্রমাণ নেই।
বরং “কৃষক লীগের সভাপতি জাজাল, সিরাজ ” ও “আলি আশরাফ” নামের তিন জন ব্যক্তি সরকারি প্রভাব খাটিয়ে ভূমিহীনদের বরাদ্দপ্রাপ্ত জমি দখল করার চেষ্টা করছেন।
তারা সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষ ভুল বুঝে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মত গঠন করে।
চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাকের বিশ্বাস বলেন,
আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা কখনো কৃষকদের বাধা দিইনি। বরং সরকারদলীয় কিছু লোক নিজেরা ভূমিদস্যুতায় জড়িত থেকে এখন আমাদের নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাইছে।

এ বিষয়ে  স্থানীয় বাসিন্দা মান্নান,আনোয়ার আরও বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, জালাল সিকদার ও আলি আশরাফ কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে ভুয়া চাষিদের নামে ডিসিআর সংগ্রহ করে ওই জমি দখলের চেষ্টা করছেন।
যখন প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করতে যায়, তখন জনগণের সহানুভূতি আদায়ের জন্য বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সংবাদটি প্রকাশের পর থেকে এলাকায় নানা ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। অনেক মানুষ সত্য না জেনে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন, যা সামাজিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

স্থানীয়রা বলেন সিরাজ চরবাংলা এলাকার  গডফাদার হিসাবে পরিচিত। চরের জমি দখল করা তার একমাত্র নেশা ও পেশা। পাশাপাশি চরবাংলা  কৃষক লীগের সভাপতি জালাল তালুকদারের নেতৃত্বে চরবাংলার ভুমিহীন মানুষদের উপর চালাতেন নির্মম অত্যাচার ও  নির্যাতন। পতিত সরকারের আমলে এই বিষয় মুখ খোলার কারনে  অনেক মানুষদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতো। তাদের নির্যাতনে অনেক সাধারণ মানুষ  গ্রাম ছাড়া হয়েছে। 

স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির কর্মী জানান " চর  বাংলায় বিগত স্বৈরাচারী হাসিনার শাসনামলে  যারা আওয়ামিলীগের সাথে মিলে  ভুমিহীন মানুষের বিপক্ষে গিয়ে জমি দখল করেছিলো তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে নব্য বিএনপি নেতা আলী আশরাফ। এই আলী আশরাফ  ৫ই আগষ্টের পূর্বে এই এলাকায়  বিএনপির রাজনীতির সাথে তার  কোন ধরনের সম্পর্ক ছিলো না। কিন্তু হাসিনা পালিয়ে   যাওয়ার পরে এলাকায় সে নামধারী নব্যনেতা সেজেছে। বিগতদিনে যারা এই এলাকায় বিএনপির রাজনীতি টিকিয়ে
রেখছে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এই আলী আশরাফ। "

অনুসন্ধান রিপোর্টে আরও জানা যায় আলী আশরাফ বর্তমানে চেক জালিয়াতি মামলায় সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন তাকে  আইনের আওতায় আনছে না।

আলী  আশরাফের নিজ এলাকার বাসিন্দারা জানায় "আমাদেরকে জমি দিবে বলে আমাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিছে আলী আশরাফ ভাই কিন্তু এখন আমাদের জমিও দিচ্ছেনা আর টাকাও দিচ্ছেনা। তার কাছে  টাকার কথা বললে আমাদেরকে  বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। তার আতঙ্কে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।" 

একজন স্থানীয় শিক্ষক বলেন, "সংবাদমাধ্যম সমাজের দর্পণ। যদি সেই দর্পণ বিকৃত হয়, তাহলে জনগণ ভুল বার্তা পায়। তাই তথ্য যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশ করা খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।”

 তিনি আরও বলেন, তারা আইন ও প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন যেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয় এবং প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করা হয়। সাংবাদিকদের উচিত ছিল উভয় পক্ষের বক্তব্য যাচাই করে নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করা।যেকোনো ভুল সংবাদ একজন নাগরিকের সম্মান ও জীবিকায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাকের বিশ্বাস বলেন বিষয়টি ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভূমি অফিস এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

গলাচিপার এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এক পক্ষ বলছে বিএনপি নেতারা কৃষকদের বাধা দিয়েছে, আর অন্য পক্ষ বলছে এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার।
প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্য উদঘাটনে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat