সুজন রায়, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ;
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের এলজিইডি রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে লাগানো আকাশমনি গাছগুলো একে একে উধাও হয়ে যাচ্ছে। রাতের আঁধারে চলছে সরকারি গাছ পাচারের উৎসব। গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত অর্ধশতাধিক গাছ কেটে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরচক্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গিলাতলী চার রাস্তার মোড় থেকে খানকা শরীফ হয়ে চ্যাঙ্গারবাজার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে কাটার চিহ্ন আর গুঁড়ির স্তূপ। স্থানীয়রা বলছেন, গভীর রাতে ইলেকট্রিক করাতের শব্দে কাঁপে গ্রাম।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল করিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রতিদিনই ৪-৫টি গাছ পাচার হচ্ছে। সরকারের সম্পদ এভাবে লুট হচ্ছে অথচ কেউ কিছু করছে না। এখন রোদের তাপে পথ চলা কষ্টকর হয়ে গেছে।”
বহরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জানান, “আমরা ইতোমধ্যে চোরদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু ১০ দিন পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ কখনোই চোরচক্রের সঙ্গে জড়িত নয়, আমরা বরং বাদী হয়ে অভিযোগও দিয়েছি।”
এলজিইডির মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউন নবী বলেন, “বিষয়টি প্রথম আপনার কাছ থেকেই জানলাম। দ্রুত পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ বিন কাসেম জানান, “রাস্তার পাশের গাছ কাটার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অন্য ইউনিয়নে এমন ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে—বহরা ইউনিয়নের ঘটনাটিও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, “বনবিভাগের সহযোগিতা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। ঘটনাটি যাচাই করে দেখা হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েক মাসে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার সরকারি গাছ পাচার হয়েছে। অথচ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় সাহস পাচ্ছে চোরচক্র।
এ জাতীয় আরো খবর..