মাদারীপুরে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় শহরের শকুনি লেকের চারপাশে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা ও ঘুরতে পারছেন পর্যটকরা। এমন উদ্যোগে চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং রোধ পাবে বলে আশা ভ্রমণপিপাসুদের।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধু লেকেই নয়, পর্যায়ক্রমে পুরো শহরকে আনা হবে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়।
জানা যায়, মাদারীপুর শহরের শকুনি লেক। জেলার একমাত্র বিনোদন ও ভ্রমণের স্থান এটি। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে ঘুরতে আসেন দর্শনার্থীরা। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প থেকে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লেকের সৌন্দর্য বর্ধন করে মাদারীপুর পৌরসভা। নির্মাণ করা হয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, শহীদ কানন, স্বাধীনতা অঙ্গন, শান্তি ঘাটলাসহ মাদারীপুর ঘড়ি নামে একটি সুউচ্চ টাওয়ার। এসব দেখতে ঈদ, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, কিংবা বিভিন্ন উৎসবে হাজারো মানুষের ঢল নামে। পর্যটকের নিরাপত্তায় সম্প্রতি লেকের চারদিকে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। বিনোদন পেতে আসা শিশু, কিশোর, নারী কিংবা বৃদ্ধদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। কখন চুরি, ছিনতাই কিংবা ইভটিজিংয়ের মুখোমুখি হতে হয় অনেকেই। এখন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছেন দর্শনার্থীরা।
শরীয়তপুর থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী কেয়া মণ্ডল বলেন, পুরো লেকজুড়ে বসানো ক্যামেরা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে বেশি ভিড় হয়, সেখানে চুরি ও ইভটিজিংয়ের ভয় থাকে, কিন্তু এখন অপরাধীরা এসব কাজ করতে সাহস পাবে না। সবার ভাল লাগছে, আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
মাদারীপুরের রাজৈরের কদমবাড়ি থেকে আসা দর্শনার্থী পুতুল আক্তার বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ফলে অনেক অপরাধ কম হবে। সবাই নিজেদের মত করে ঘুরতে পারছি। রাতের বেলা এখন আর ভয় কাজ করে না।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে আসা দর্শনার্থী দেলোয়ার হোসেন সজিব বলেন, পুরো পরিবার নিয়ে লেকে ঘুরতে এসেছি। নিরাপত্তার স্বার্থে এই ক্যামেরা বসানো সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
মাদারীপুর পৌরসভার সচিব খন্দকার আবু আহম্মদ ফিরোজ ইলিয়াস বলেন, ১৮৫৪ সালে ওই জায়গা থেকে মাটি খননের পর মাদারীপুর শহরের উৎপত্তি হয়। পরে জায়গাটির নাম দেয়া হয় শকুনি লেক। জেলার একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। প্রতিদিন গড়ে লেকে ঘুরতে আসেন ১৫-২০ হাজার দর্শনার্থী। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ জানান, শুধু শকুনি লেকেই নয়, পুরো শহরজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলে কমবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এজন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, এরইমধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুরো শহরে ক্যামেরা বসানোর কাজ চলমান। যা সরাসরি পৌর কর্তৃপক্ষ মনিটরিং করছে।
 
                       এ জাতীয় আরো খবর..