ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : মোঃ মুনির 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা নোয়াগাঁও ইউনিয়ন  এ বুড্ডা  তিতাস নদীর পার দখল করে চালাচ্ছে। মেসার্স সোনালী ব্রিকস নামে  একটি ইট ভাটা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চালাচ্ছে  অবৈধ ইট ভাটা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরাইল   উপজেলায় সরজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
অবৈধ ইটভাটায় জরিামান ও বন্ধের ১ দিন  পরে পুনরায় চালু করেছে ইটভাটার মালিক বকুল মিয়া এত দিন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকায়  এলাকার নিরীহ মানুষ বইয়ে কিছু বলত না এতে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। 
এলাকাবাসী দ্রুত স্থায়ীভাবে অবৈধ  ইটভাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, সরাইল  উপজেলায় সোনালী  ইট ভাটায় কাঠ দিয়ে অবৈধভাবে ইট পুড়ে আসছে।
উল্লেখ গত (১ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিনের নেতৃত্বে সরাইল উপজেলায় অবৈধ সোনালী  ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে দেখা যায়, সোনালী ব্রিকস এর বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় ও ফাইয়ার বিগ্রেড এর মাধ্যমে ব্রিকস এর আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়।
অভিযানে বিচারক দায়িত্ব পালন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবিন। এ সময় সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কায়ছার আলম, পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ইটভাটা বন্ধ ও জরিমানা করে চলে যাওয়ার ১ দিনপরে  ইটভাটার মালিক পুনরায় ইটভাটা চালু করেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের  মহা পরিচালক মো: নয়ন মিয়া  বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে সোনালী ব্রিকস  ইটভাটায় জরিমানা করে বন্ধ করে দিয়েছে। পুনরায় চালু করলে আবারো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
                       এ জাতীয় আরো খবর..