×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০২-০১
  • ৮৭ বার পঠিত
এএসএম হারুন
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ জনবল সংকট থাকায় নিয়ম নীতি মেনে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, বিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ জন জনবল নিয়োগের কথা থাকলেও সেখানে আবেদন করেন পাঁচ হাজারেরও অধিক প্রার্থী,  নিয়োগের নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ শনিবার (১লা ফেব্রুয়ারি) নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, পরীক্ষার হল হিসেবে বেছে নেয়া হয় ফেনী সরকারি কলেজ, জিয়া মহিলা কলেজ ও শাহীন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ কে, তিনটি কেন্দ্রেই সকল প্রস্তুতি শেষে আজ সকালে ১ঘন্টা (১০টা থেকে ১১টা) পরীক্ষা নেয়ার প্রথম ধাপে প্রতিটি হলে চলছিল প্রবেশপত্র যাচাই-বাছাই, যাচাই-বাছাই-এর একপর্যায়ে পরীক্ষার্থীর পূর্বে জমাকৃত মূল ফাইলের সাথে প্রবেশপত্রে ছবির সাথে মিল না থাকায় বাজে বিপত্তি, এরপর আরো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিতে যিনি এসেছেন আবেদনকারীর সাথে তার কোন মিল পাওয়া যায়নি। একে একে আটক হয় ২০ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী, পুলিশের তথ্য মতে তারা হলেন, রংপুর জেলার মোহাম্মদ রুবেল(২৫), ফয়সাল মিয়া (৩২), রফিকুল ইসলাম, তারেক, মিঠু সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলার মোহাম্মদ খলিল(২৩), মুজাহিদ (৩০), আমির আলী(৩২), বগুডা জেলার মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ (২৮),ইদ্রিস আলী(২৮), গাইবান্ধা জেলার মাজহারুল (২৯, আরশাদউজ্জান(৩২), সাহেদ জুয়েল (৩১)নেত্রকোনা, আরিফুর ইসলাম (৩৪) লালমনিরহাট, মোহাম্মদ মুসফিকুর (৩০) দিনাজপুর, আল আমিন(২৫) শরিয়তপুর, আমিনুল ইসলাম (২৯) দিনাজপুর, শেরপুর জেলার সুমন মিয়া, আকমল হোসেন রাজবাড়ী, মোহাম্মদ রাসেল বরগুনা জেলা, এরপর বেরিয়ে আসে একে একে মূল রহস্য, উপস্থিত অনেকেই জানিয়েছেন এরা ভয়ংকর একটা চক্র, এরা সাধারনত চাকুরী আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে ২/৩ লাখ করে নিয়ে চাকুরী দেয়ার চুক্তি করে, এরপর কার্সাজি করে অভিজ্ঞ লোক দ্বারা পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিশ্চিত করে। কিন্তু ফেনীতে সেই অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেননি চক্রটি। সব ভুয়া পরীক্ষার্থীদের আটক করে ফেনী মডেল থানায় নেয়া হয়, ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান  তাদের বিরুদ্ধে  মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat