সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত)
 ২ জনের স্বামীই অত্যাচারী এবং মাদকাসক্ত। ২ জনেই স্বামীর সংসার করতে করতে ক্লান্ত। তাই বাকি জীবন একে অপরের সঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতের  উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বাসিন্দা  কবিতা এবং গুঞ্জা। পরিণতি পেল তাঁদের ৬ বছরের বন্ধুত্ব। মন্দিরে গিয়ে সিঁন্দুর দান, মালাবদল, সাতপাকের মতো নিয়মকানুন মেনেই একে অপরকে বিয়ে করলেন তাঁরা। ত্যাগ করলেন স্বামীর সংসার। নবদম্পতি জানিয়েছেন, তাঁদের ২ জনের স্বামীই
মাদকাসক্ত। দিনের পর দিন মদখেয়ে বাড়ি ফিরে অত্যাচার করতেন তাঁরা স্ত্রীকে মারধর করতেন। নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত সংসারে। কবিতা এবং গুঞ্জার আলাপ হয় ইনস্টাগ্রামে।২ জনের পারিবারিক পরিস্থিতি  মিলে যায়। শুরু হয় গল্প,আড্ডা.এবং বন্ধুত্ব। ৬ বছর ধরে সে ভাবে কাটানোর পর একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গোরখ পুরের শিব মন্দিরে যান। সেখানে কবিতার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন গুঞ্জা। তাঁরা মালা বদল করেন, ঘোরেন সাতপাক। মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন, ২ মহিলা নিজেদের মতো মন্দিরে এসে ছিলেন। নিজদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে ধীর সুস্থে আবার মন্দির থেকে বেরিয়ে ও গিয়েছেন।
 
                       এ জাতীয় আরো খবর..