×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০১-১৮
  • ৬৯ বার পঠিত
হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জের নতুনব্রিজ সংলগ্ন খোয়াই নদীর বাঁধে করিমপুর সড়কে দুই তরুণী বোনকে  জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ১৭ জানুয়ারি রাতে থানার ওসি নুর আলম এর নেতৃেত্বে একদল পুলিশ শায়েস্তাগঞ্জের উবাহাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেন । পারভেজ উবাহাটা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। এরআগে  গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে   ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয়দের  কাছে বিচার চেয়ে পাননি ভুক্তভোগীরা। পরে বাধ্য হয়ে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। নির্যাতনের শিকার  দুই বোনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে । চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম জানান,“ঘটনার খবর পেয়ে আমরা  ঘটনাস্থল উপরিদর্শন করে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি ও জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। 
ভুক্তভোগী দুই তরুণী নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা সম্পর্কে একে অপরের আপন চাচাত বোন। ওই দুইবোন রাজধানী মগবাজারে তাদের এক আত্নীয়ের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করছেন। দুই তরুণী জানান, গত ১৫ জানুয়ারি রাত অনুমান ১২টার দিকে ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ মোড়ে নামেন। পরে ৫০০ টাকা চুক্তিতে উবাহাটা গ্রামের ওস্তার মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক কামালের সিএনজি রিজার্ভ করেন ওই দুইবোন। রাত সাড়ে ১২ টায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ঢাকা রোডস্থ নতুন যাত্রী ছাউনির সামন থেকে অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে  নিজর বাড়ি নবীগঞ্জের দেবপাড়া  ফিরছিলেন। পথিমধ্যে  নতুন ব্রীজের মুখে  গিয়ে সিএনজি চালক কামাল মিয়া বাই রোডের কথা বলে মহাসড়ক থেকে নেমে খোয়াই নদীর বাধে করিমপুর সড়কে প্রবেশ করেন। ব্রিজের অদূরে করিমপুর সংলগ্ন বাধেঁ গিয়ে সিএনজি বন্ধ করে দেন। এসময় কামালের বন্ধু রায়হান,  পারভেজ ও শিবলু ওরফে শরীফ সঙ্গে ছিলেন।  সেখানে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক  সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার নগদ ১লাখ ৫৯ হাজার টাকা সহ জিনিষপত্র লুটে নেয়। ওই সময়ে  তারা শোরচিৎকার শুরু করলে ওই চক্রটি পালিয়ে যায়। পরে তারা সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় এসে স্থানীয়দের অবগত করে অপর একটি গাড়িতে বাড়িতে পৌছান। বাড়িতে গিয়ে তারা তাদের জানালে তাদের দুই ভাই ওই এলাকার মুরুব্বী ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে ঘটনার ১দিন পর শুক্রবার চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দেন । এদিকে ঘটনাচক্রে জড়িত পারভেজ ও রায়হান ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলে তারা ধর্ষণ করেনি এবং টাকাও নেয়নি সবকিছু কামাল করেছে। দুই বোন জানায় তারা দীর্ঘ সাড়ে ৩বছর যাবৎ  ঢাকায় কাজ করছিলেন গত ১৫ জানুয়ারি তারা ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছেল।  এর মধ্যে একজনের বিয়ের কথা চলছিলো। এজন্য তারা তাদের জমানো বেতনের টাকা পয়সা ও মার্কেট করা ছিলো সবকিছু লুটে নেয় তারা । ভিকটিম মরিয়মের ভাই  জানায়, আমার বোনকে চারজন মিলে অমানুষিক নির্যাতন করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিয়েছে, এমন  নির্যাতনের কঠোর শাস্তি চাই তাদের। মিতুর ভাই  বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নেই,  আমার বোনকে তারা অত্যাচার করেছে এর বিচার চাই।এরিপোর্ট লেখাকালে  দুই তরুণী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অপর একটি সূত্র জানায় ওই চক্রটি বেশ কিছুই ধরে গাড়ি চালানোর ফাঁকে  যাত্রীদের সাথে অশুভ আচরণ সহ গভীর রাতে নতুনব্রিজ পয়েন্টে করছেন নানা অপকর্ম। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ যাত্রী সাধারণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat