রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার শেরপুর 
 শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলে বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ৪ মাসেও চালু হয়নি। ফলে এ পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পাশাপাশি পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 
  
জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর উজান থেকে নেমে আসা ভোগাই চেল্লাখালি নদীর  পাহাড়ি ঢলের  পানির তোড়ে     শেরপুর- নালিতাবাড়ী উপজেলার  নাকুগাঁও স্থলবন্দর সড়কের উত্তরবন্দ এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের  সড়কের প্রায় ১ ফুট সড়কের  দুটি স্থানে বড় আকারে ভাঙনসহ সড়কের দুই পাশে অন্তত ৩৫০ মিটার  বিধ্বস্ত হয়। 
এতে শেরপুর - বারমারি, নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে।  কিন্তু গত ৪ মাসেও  সড়ক ও জনপদ বিভাগ সড়ক  যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রে বিকল্প  কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ফলে গত ৪ মাস ধরে  এ পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  নালিতাবাড়ি উপজেলার  উত্তরবন্দ  নন্নী-বারোমারী নাকুগাও স্থলবন্দর দুই লেনের এ  সড়কটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। 
স্থানীয়বাসিন্দারা  জানান, সড়ক পথে  নাকুগাঁও স্থলবন্দর, বারোমারী মিশন, বারোমারী বাজার, নন্নী উচ্চবিদ্যালয়, নন্নী পোড়াগাঁও মৈত্রী কলেজ, নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ, নন্নী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া  সড়কে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পণ্যবাহী যানবাহনসহ ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে ।  কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা  বিচ্ছিন্ন থাকায়  চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে  এই সড়কে চলাচলকারী পথচারীদের।
 সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে বিধ্বস্ত সড়কের এপাশ ওপাশ থেকে যানবাহন চলাচল করে থাকে।  আবার  কোন কোন সময়  ৫ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে  বিকল্প পথে ছোট যানবাহন  চলাচল করলেও  ভারী  যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এপথে যাতায়াত কারীদের। স্থানীয়রা জরুরী ভিত্তিতে সড়কের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। 
এ বিষয়ে শেরপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, সড়কের ভাঙ্গা অংশে দুইটি কালভার্ট নির্মাণসহ বিধ্বস্ত সড়ক সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ করা হবে। এতে আরো প্রায় ৬ মাস সময় লেগে যেতে পারে বলে জানান তিনি।
 
                       এ জাতীয় আরো খবর..