কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন এর মশান সাহা পাড়ার বাসিন্দা কুষ্টিয়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নির্বাহী সদস্য বিএনপি কর্মী আবদুল মান্নান কে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের ক্যাডার ১. মোঃ নুর ইসলাম (৩৭) পিতা আবুল, সাং বলিূাদাপাড়া ২. মেহেদী হাসান বাবু পিতা মোঃ শহর আলী ৩. আনোয়ার হোসেন (৩৫) পিতা ফজল শাহ, ৪. জহুরা খাতুন (৪৫) পিতা শহর আকলী, ৫. মোছাঃ আলেয়া খাতুন (৬৫) পিতা শহর আলী সর্বসাং মিরপুর কুষ্টিয়া।
এ বিষয়ে মিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী আবদুল মান্নান এর ছেলে মোঃ সবুজ আলী (২৫)। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় বছর দুয়েক আগে  মান্নান এর ছেলে সবুজের সাথে মেহেদী হাসান বাবুর মেয়ে মোছাঃ  সুরাইয়া খাতুন (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিন্তু মান্নান বিএনপির কর্মী হওয়ায় আওয়ামী লীগের মেহেদী হাসান বাবু তার মেয়কে সবুজের সাথে বিয়ে দিতে অস্বীকার করে এবং মেয়ে সুরাইয়া কে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়, মান্নানও তার ছেলে কে বিয়ে দেয়, উভয়ই তাদের বিবাহীত জীবন জাপান করতে থাকে। সবুজ সুরাইয়া কে ভুলে গেলেও সুরাইয়া সবুজ কে ভোলেনি গত  ৩/৪ মাস আগে সুরাইয়া তার স্বামী কে ছেড়ে দিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দেশে অন্তরবর্তীকালীন সরকার গঠনের পরে সুরাইয়া সুযোগ বুঝে ২২শে আগষ্ট ২০২৪ পালিয়ে সবুজের কাছে চলে আসে, সবুজ সুরাইয়া কে ফিরে যেতে বললে সে জানাই সবুজ যদি সুরাইয়া কে বিয়ে না করে তাহলে সবুজের বাড়িতে আত্বহত্যা করবে, যার দায় হবে সবুজ ও তার পরিবার, উপায় না পেয়ে সবুজ সুরাইয়া কে ঐ দিন রাতে  বিবাহ করে কিন্তু সুরাইয়ার পরিবার থানায় অভিযোগ করেন তার মেয়েকে কিডন্যাপ করেছে, এবিষয়ে মিরপুর থানায় ২৫/০৮/২০২৪ একটি শালীশ বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয় উভয়ই শান্ত থাকবে, ঘটনা নিয়ে কেউ কাউকে কিছু বলবে না, ২৮/০৮/২০২৪ তারিখের পরে থানায় বসে ফাইনাল সমাধান করা হবে, সুরাইয়া কে বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার জের ধরে গত ২৬/৮/২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ৯ টার সময় উল্লেখিত আসামি গন সবুজের বসত বাড়িতে হামলা করে সবুজ কে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে সবুজের পিতা আবদুল মান্নান ঘর থেকে বেরিয়ে আসে এবং আসামিদের কে জানাই সবুজ বাড়ি নেই আপনারা গালাগালি না করে বাড়ি যান,থানায় বসে ঘটনা টা সমাধানের কথা আছে ওখানেই যা করার করবেন, মান্নানের কথা শেষ হওয়ার আগেই আসামি নুর ইসলামের ইশারায় মেহেদী হাসান তার হাতে থাকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এসময় অন্যন্নো আসামিরা মান্নান কে জাপ্টে ধরে, উপুর্যপুরি হাতুড়ির আঘাতে আবদুল মান্নান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির লোকজনের চিৎকারে করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আসামিগন মান্নানকে এই বলে শাসিয়ে যায় যে তোর ছেলে সবুজকে যেখানে পাবো সেখানেই মেরে ফেলে রাখবো দেখি কে বাঁচাই, আসমিরা চলে যাওয়ার পরে স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় আবদুল মান্নান কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন এবং মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে সবুজ বাদী হয়ে মিরপুর থানায় ২৬/০৮/০২৪ একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। 
 
                       এ জাতীয় আরো খবর..