মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে নেত্রকোনা -৪ (মদন ,মোহনগঞ্জ ,ও খালিয়াজুরী)আসনের সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি।
নেত্রকোনা ৪-আসনের বিএনপির সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লুৎফুজ্জামান বাবর মনোনীত হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও আনন্দে উল্লাস জোয়ার বইছে এলাকায়।
লুৎফুজ্জামান বাবর ১০ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে নেত্রকোণার মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরায় জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা একে লুৎফর রহমান ও মাতা জোবাইদা রহমান। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বাবর তৃতীয়। তার স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী ছিলেন।
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২১ আগস্ট ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৮ মার্চ ২০১২ সালে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ নতুন তালিকাভুক্ত ৩০ আসামির নাম যুক্ত করে গত স্বৈরাচার সরকার। ১ অক্টোবর ২০১৮ সালে এই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পান।
২০০৪ সালে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান মামলায় ৩ অক্টোবর, ২০১০ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় শ্যেন অ্যরেস্ট দেখানো হয় বাবরকে। এই মামলায়ও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিগত পতিত সরকার। ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীসহ চান জনকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে আওয়ামীলীগ সরকার দায়ের করা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত হত্যাচেষ্টাসহ চারটি মামলায় জামিন পান লুৎফুজ্জামান বাবর।
২০২৫ সালের ১৬ই জানুয়ারি সকল মিথ্যা মামলাগুলো থেকে খালাস পেয়ে তিনি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ সাড়ে সতেরো বছর পর লুৎফুজ্জামান বাবরের কারাবাস অবসান ঘটে।
এ জাতীয় আরো খবর..