ডেস্ক নিউজ :
প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে শুরু হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিরীক্ষা। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কাজ শুরু করতে শিগগিরই আহ্বান করা হবে উন্মুক্ত দরপত্র। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরেই নিরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমন উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও নিরাপত্তা সুপারিশ যথাযথভাবে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয় দেশের প্রথম মেট্রোরেল সেবা। মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী চলাচল শুরু হয় ২০২৩ সালের শেষে। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচন সামনে রেখে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পূর্ণাঙ্গ সেফটি অডিট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মেট্রোরেল চালু করে। তৃতীয় পক্ষ দিয়ে নিরাপত্তা নিরীক্ষার কথা থাকলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। এর কুফল এখন ভোগ করছেন রাজধানীবাসী।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, নিয়ম থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ঠিকাদার ও পরামর্শকদের কাজের জবাবদিহি তেমন গুরুত্ব পায়নি। বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার পর তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে ফরাসি দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহপত্রও জমা দিয়েছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘রেভিনিউ কালেকশনে যাওয়ার আগে এটা বাধ্যতামূলক—সব দেশেই পৃথিবীর। দুটি ফ্রেঞ্চ কোম্পানি অফার দিয়েছে আমাদেরকে। যেহেতু আমরা ইনিশিয়েটিভ নিচ্ছি, তাই এখন মার্কেটে যাচ্ছি।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারিগরি জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও শুরু থেকেই রাজনৈতিক বিবেচনায় মেট্রোরেল ছিল আমলাদের নেতৃত্বে। চালুর পর থেকে ডিএমটিসিএল একটি নিরাপত্তা প্রতিবেদনও জমা দেয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এম. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘অডিটের যে মাল্টি-স্টেজ পদ্ধতি, গ্লোবাল কমপ্লায়েন্স যেটা অনুসরণ করা হয়—যাদের আসলেই টেকনিক্যাল ক্যাপাসিটি আছে, তাদের দিয়েই করানো উচিত। এই প্রক্রিয়াই ভবিষ্যতে মেট্রো নির্মাণ ও পরিচালনায় অনুসরণ করতে হবে।’
মেট্রোরেলের ত্রুটি সংশোধনের পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।