×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১১-২৭
  • ৮১ বার পঠিত
রিয়াজ স্টাফ রিপোর্টার শেরপুর 
শেরপুরের মুর্শিদপুর  দরবার শরিফে  হামলা-ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।  ১২ জন আহত হয়। 
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর)  ভোরে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার (দোজা) পীরের  দরবার শরিফে এই ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার  জড়িত থাকার  অভিযোগে  ৮ জনকে   আটক করে থানা পুলিশ । 

পুলিশ ও  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই মুর্শিদপুর দরবার শরীফের কার্যক্রম বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিলেন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের জামতলা এলাকার ফারাজিয়া আল আরাবিয়া ক্বওমী মাদ্রাসার সুপার মো:তরিকুল ইসলামও তার সহযোগীরা। 

তাদের অভিযোগ,পীরের দরবারে ইসলাম পরিপন্থী কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। তাই পীরের দরবার শরিফ বন্ধের দাবিতে  মাদ্রাসা সুপারের   নেতৃত্বে ইতিপুর্বে এলাকায়  মানববন্ধন কর্মসূচি-বিক্ষোভ সমাবেশ ও  হয়েছিল ।

 এরই ধারাবাহিকতায়  মঙ্গলবার ভোর রাতে মাদ্রাসা সুপার মো.তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে  একটিদল পরিকল্পিতভাবে  মাজারে হামলা চালিয়ে  মাজারে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। ককটেল পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে  ও লোহার ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তারা 

দরবারে থাকা দুম্বা,খাসি, গরু ও ভেড়া লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় খাদেম ও অন্যান্য মুরিদরা বাধা দিলে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। 

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী,পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে  উভয় পক্ষের   ১৩ জন আহত হন । আহতরা হলেন আসিফ (২৫),শহিদুল ইসলাম (৩৫),আল মাসুদ (১৫), জিসান (২২) এনামুল হক (৩৫), হাফেজ (৩৯) ও জয়নাল (২৮)। 

মুর্শিদপুর দরবার শরীফের  আহতরা হচ্ছেন আব্দুল কুদ্দুছ (৪০),মোহন মিয়া (৪০), মন্টু মিয়া (৪২), আরিফ হোসেন (১৬), মনির হোসেন (২৪) ও সফর মিয়া (৪৫)। আহতদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়   বুধবার হাফেজ উদ্দিন (৩৯) নামে এক কাঠমিস্ত্রীর মৃত্যু হয়।  ঘটনার সাথে জরিত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। 

এ বিষয়ে  দরবার শরীফের খাদেম মাহমুদান মাসুম বাদি হয়ে  ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামী করে  শেরপুর সদর থানায় একটি 
মামলা দায়ের করে।   
 
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবায়দুল আলম জানান, বর্তমানে মুর্শিদপুর দরবার এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। 

এ ঘটনায় এক পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat