×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০২-১১
  • ৬৩ বার পঠিত
মো:খালেদ সাইফুল্লাহ ; কমলগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নন্দরানী চা বাগান দখলে হামলায় চা বাগান কর্মকর্তাসহ ২ জনকে হত্যা করেছিল হামলাকারীরা। সাবেক সাংসদ ও কৃষি মন্ত্রীর লোকজন এ হামলা চালিয়েছিল। হামলা ও অগ্নি সংযোগে চা বাগানের কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। বিগত ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আওয়ামী দলীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রায় ৫ শতাধিক ভাড়াটে লোকের অংশগ্রহণে সাউথ এশিয়ান ইন্টারনেশনাল লিঃ মালিকানাধীন নন্দরানী চা বাগানে পূর্ব ঘোষিত ও পরিকল্পিত হামলা হয়েছিল। 

জানা যায়, ঘটনার বেশ কয়েকদিন আগ থেকে মালিকানা দাবী করে জনৈক সাহাদাত রহিম চৌধুরী সাউথ এশিয়ান ইন্টারনেশনাল লিঃ এর মালিকানাধীন কমলগঞ্জের নন্দরানী চা মালিকানা দাবী করে এ চা বাগান দখলের হুমকি দিয়েছিল। সাহাদাত রহিম চৌধুরীর পক্ষে ছিলেন মৌলভীবাজার -৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও সাবেক কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ এম এ শহীদ ও তার অনুসারী কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের আওয়ামী নেতা কর্মীরা। 

এ হুমকিতে ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১২ নন্দরানী চা বাগান কর্তৃপক্ষ কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন। তাছাড়া মালিক পক্ষ মুঠোফোনে তৎকালীন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ও সিলেটের ডিআইজিকে নিরাপত্তা চেয়ে সহায়তা চেয়েছিলেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ নামমাত্র পুলিশ পাহাড়া দিয়েছিলেন। 

পুলিশি সহায়তা চাওয়ার পরও পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারী সকালে নন্দরানী চা বাগান চারদিক থেকে ঘিরে নেয় ৫ শতাধিক সশস্ত্র হামলাকারী। তাদের হাতে দেশীয় বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রের সাথে বেশ কয়েকটি দু'নলা বন্দুকও ছিল। 

এসময় নন্দরানী চা বাগান অফিসে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের কমলগঞ্জ -শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আহাদ ও কমলগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী।  

এরমাঝে দুপুরে হালকারীরা নন্দরানী চা অফিস এলাকায় প্রবেশ করে কুপিয়ে হত্যা করে সাউথ এশিয়ান ইন্টারনেশনাল লিঃ এর সচিব কাজী ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও জাহেদ মিয়া নামের এক যুবককে। হামলাকারীরা চা বাগানের গাড়ি ও অফিসে অগ্নি সংযোগ করে। ঘটনার খবর পেয়ে মৌলভীবাজার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আসলে হামলাকারীরা নিরাপদে সরে যায়। 

এ ঘটনায় মালিক পক্ষের শাহিরুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে সাহাদাত রহিম চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে হামলায় অংশগ্রহণকারী আওয়ামী নেতৃবৃন্দ সমন্বয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত শতাধিক আসামী করে হামলা ও হত্যা মামলা করেন। অন্যদিকে হামলাকারীর পক্ষের চা বাগান মালিক পক্ষকে আসামী করে পাল্টা মামলা দয়ের করেছিল।

আওয়ামীলীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসন আমল থাকায় ঘটনার ১২ বছরেও এ মামলার কোন অগ্রগতি হয়নি।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সাউথ এশিয়ান ইন্টারনেশনাল লিঃ এর চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে বলেন, হামলার নেপত্যে প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করেছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক সাংসদ ও সাবেক কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ এম এ শহীদ। তাঁর লক্ষ্য ছিল হামলা চালিয়ে নন্দরানী চা দখল করে তিনি এ চা বাগানের মালিক হবেন। তাই গত ১২ বছরে এ মামলার কোন অগ্রগতি হয়নি। 

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এখন দুঃশাসন মুক্ত বাংলাদেশ। আশা করা যায় একটু নাড়াচাড়া করলে এখন নতুন করে এ মামলা গতি পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
lube
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat